মুরগির ভ্যাকসিন দেয়ার নিয়ম

মুরগি পালন করতে গেলে অনেক সময় বিভিন্ন রোগের কারণে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কিভাবে ভ্যাকসিন দিতে হয়, কি কারনে ভ্যাকসিন দিতে হয় এবং কখন ভ্যাকসিন দিতে হয় সে সম্পর্কে না জেনে ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত নয়।
মুরগির ভ্যাকসিন দেয়ার নিয়ম
আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা মুরগির ভ্যাকসিন দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই পারিবারিকভাবে মুরগি পালন করতে চাইলে অথবা মুরগির খামার তৈরি করতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ

মুরগিকে কখন ভ্যাকসিন দিতে হয়

বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় মুরগিকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। যেমন নির্দিষ্ট কোন রোগ হইলে সেই রোগ প্রতিকারের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় একটি এলাকার সকল খামারে বা যাদের বাসায় মুরগি পালন করে সকল মুরগি নির্দিষ্ট কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তখন আগে থেকেই সতর্কতামূলক সেই রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এছাড়াও মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি, পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মমাফিক কিছুদিন পর পর ভ্যাকসিন দিতে হয়।

বসতবাড়িতে অল্প সংখ্যক মুরগি পালনের সময় বিভিন্ন কারণে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। যদি ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে প্রথমবার ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ড্রপের সাহায্যে চোখের ভেতর দেওয়াই উত্তম। একই ভ্যাকসিনের পরবর্তী ডোজ খাবার বা পানির সাথে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে খামারের ক্ষেত্রে প্রতিটি মুরগিকে আলাদা আলাদা ভাবে ড্রপের সাহায্যে চোখে দেওয়াটা একটু কষ্টকর হওয়ায় সাধারণত পানির সাথে মিশিয়েই দেওয়া হয়।

ব্রয়লার মুরগিকে ভ্যাকসিন দেয়ার নিয়ম

সময়, স্থান ও তাপমাত্রা ভেদে পশু চিকিৎসকগন ব্রয়লার মুরগিকে বেশ কয়েকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাই, শীতকাল নাকি গরমকাল সেই বিবেচনায় রেখে নিয়ম অনুযায়ী বয়লার মুরগিকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি বয়লার মুরগিকে নিয়মিত কিছু মেডিসিন খাওয়াইলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বয়লার মুরগি সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যেই বিক্রির উপযোগী হয়ে যায় তাই এই এক মাস বা ৩৫ দিনের মধ্যে বয়লার মুরগিকে মোট ৪বার ভ্যাকসিন দিতে হয়। অনেক খামারি ভাইয়েরা আছে যারা ভ্যাকসিন দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে ভুল পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন দিয়ে থাকে ফলে অনেক মুরগি মারা যায়।

বয়লার মুরগিকে ভ্যাকসিন দেওয়ার দুটি পদ্ধতি আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। প্রথমটি হল পানির সাথে ভ্যাকসিন মিশিয়ে সেই পানি মুরগিকে খেতে দেওয়া। এই পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন দিলে সকল বয়লারের মাঝে সমান ভাবে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ছড়ায় না। তাই ভ্যাকসিনের সর্বোত্তম ও গুণগতমান সমানভাবে পাওয়ার জন্য ড্রপের সাহায্যে চোখের ভেতরে ভ্যাকসিন দিতে হবে এতে প্রতিটি মুরগির ভ্যাকসিন নিশ্চিত হবে।

দেশি মুরগিকে কোন ভ্যাকসিন দিতে হবে

দেশি মুরগির বয়স বেঁধে বিভিন্ন রকমের রোগ হয়ে থাকে তাই বয়স ভেদে বিভিন্ন রকমের ভ্যাকসিন বা টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। রোগ হওয়ার আগেই এ সকল টিকা দেওয়াই উত্তম। নিচে টিকা দেওয়ার লিস্ট দেওয়া হল।
  • ৩-৫ দিন বয়স: প্রতিটি বাচ্চার যেকোনো এক চোখে এক ফোটা রানীক্ষেতের ভ্যাকসিন BCRDB দিতে হবে।
  • ১১ দিন বয়স: প্রথম ভ্যাকসিন যে চোখে দেওয়া হয়েছে তার বিপরীত চোখে এক ফোটা গামবোরো ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ দিতে হবে।
  • ১৮ দিন বয়স: গামবোরো ভ্যাকসিনের ২য় ডোজ দিতে হবে।
  • ২৫-২৬ দিন বয়স: BCRDB ভ্যাকসিনের ২য় ডোজ যেকোনো এক চোখে এক ফোটা দিতে হবে।
  • ৩৫ দিন বয়স: বাচ্চার পাখায় বিশেষ ইনজেকশনের মাধ্যমে ফাউল পক্স ভ্যাকসিন দিতে হয়।
  • ৫০ দিন বয়স: মুরগির বয়স ৫০ দিন হইলে কৃমিনাশক ওষুধ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে ও পরে করনীয়

মুরগিকে যেকোন সময় ভ্যাক্সিন দেওয়া যাবে না। ভ্যাক্সিন দেওয়ার আগে মুরগিকে ভ্যাক্সিন উপযোগি করে তুলতে হবে। মুরগিকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার ৬ ঘন্টা আগে খাবার পানির সাথে ভিটামিন ট্যাবলেট মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। ভিটামিন ট্যাবলেট হিসেবে আপনি " AD3E " ঔষধ ব্যাবহার করতে পারেন। ছোট মুরগির ক্ষেত্রে প্রতি ৩ লিটার পানিতে ১মিলি " AD3E " ব্যাবহার করতে হবে। যেকোন ফার্মেসির দোকানে এটি পেয়ে যাবেন। এই ভিটামিন ঔষধ ব্রয়লারের যেমন গ্রোথ বৃদ্ধি করে তেমন ইমিউনিটি বাড়ায়।

ভিটামিন সেবন করার ৬ ঘন্টা পর মুরগিকে ভ্যাক্সিন দিতে হবে। এবং ভ্যাক্সিন দেওয়ার সাথে সাথে নাপা অথবা যে কোন ধরনের প্যারাসিটামল ট্যাবলেট গুড়া করে অথবা প্যারাসিটামল সিরাপ এবং Vitamin- A, D ঔষধ ব্রয়লারের খাবার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে। এভাবে ৬ ঘন্টা পর পানি চেঞ্জ করে নতুন পানিতে প্যারাসিটামল প্লাস মিশিয়ে দিতে হবে। এই নিয়মে ভ্যাক্সিন দিলে মুরগির সাস্থ ভালো থাকে ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করা যাবে।

গরমে মুরগির কী ধরনের রোগ হয়

গরমের এই মৌসুমে মুরগির অনেক ধরনের রোগ হয়ে থাকে। তবে গরমের কারণে বেশিরভাগ যে সকল রোগের কারণে মুরগি মারা যায় এই ধরনের কয়েকটি রোগের কথা নিচে বর্ণনা করা হলো: 
  • ফাউল কলেরা: এটি সাধারণত মুরগির বয়স দুই থেকে চার মাস যখন হয় তখন হয়ে থাকে, এটি পুরোপুরি সংক্রামক জাতীয় রোগ তাই একটি মুরগি থেকে পুরো খামারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মশা মাছির পাশাপাশি মানুষের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়ায়। মুরগিকে এই রোগ থেকে বাচাইতে চাইলে মুরগির বয়স ৪৮ দিনে একটি এবং ৫১ দিনে আরও একটি ফাউল কলেরা টিকা দিয়ে নিতে হবে।
  • হিট স্ট্রোক: গরমের সময় বিভিন্ন জাতের মুরগির ভেতর হিট স্ট্রোকের সমস্যাটা দেখা দেয়। হঠাৎ করে খামারের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বা পরিবর্তন হইলে এই রোগটি মুরগির ভিতর ছড়িয়ে পড়ে এবং হেড স্টক এর সাথে সাথেই মুরগি মারা যেতে পারে। তাই মুরগির খামারে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সরাসরি সূর্যের আলো প্রবেশ বন্ধ করুন। 
  • ঠান্ডা গরমি: অনেক সময় মুরগির গলা থেকে অদ্ভুত একটি আওয়াজ বের হয় এটির মূল কারণ হলো তাপমাত্রার পরিবর্তন। দিনের বেলা স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকলেও রাতে কিছুটা বেশি ঠান্ডা পড়ে অথবা দিনে গরম রাত্রে ঠান্ডা কিংবা রাতে গরম দিনে ঠান্ডা আবহাওয়া থাকলে এই সমস্যাটি দেখা যায়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আপনার খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। প্রয়োজনে ফ্যানের বাতাস কমিয়ে বাড়িয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়।
এছাড়াও বাচ্চা কালে মুরগির শরীরে গুটি বসন্ত ফাউল পক্স রানী ক্ষেতের মত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই যে সমস্যাই দেখা দেয় সেই অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

কি করলে মুরগির গুটি বসন্ত ভালো হয়

মুরগির বাচ্চা হওয়ার কিছুদিন পর দেখা যায় মুরগির চোখে মুখে গুটি বসন্তের কারণে খেতে পারে না এবং মুরগি মারা যায়। এই গুটি বসন্ত ভালো করার জন্য নিচের তিনটি স্টেপ ফলো করুন।
  • স্টেপ-১: পানিতে কিছুটা পরিমাণ পটাশিয়াম দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করুন। (ফার্মেসির দোকানে পটাশিয়াম পেয়ে যাবেন।এটি জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়) পটাশিয়ামের পানি দিয়ে মুরগির আক্রান্ত স্থানটি ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।
  • স্টেপ-২: কিছুটা পরিমাণ চুনের ভেতর অল্প একটু পটাশিয়াম দিয়ে ক্রিম তৈরি করে সেই ক্রিম কটন বারের সাহায্যে মুরগির আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন চুন যেন চোখের ভেতর না যায়।
পরপর তিনদিন পটাশিয়ামের পানি দিয়ে ধুয়ে চুন এবং পটাশিয়ামের ক্রিম গুটি বসন্তে লাগানোর ফলে সেটি শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে যাওয়ার পর চিমটি দিয়ে তুলে ফেলতে হবে তারপর আরো একদিন ক্রিম লাগিয়ে দিন।
  • স্টেপ-৩: এই গুটি বসন্ত গুলো অত্যন্ত ব্যথাদায়ক হয়ে থাকে তাই এই ব্যথা মুক্ত করার জন্য নিচের ওষুধগুলো পরপর ৩-৪ দিন দিনে ১বার করে খাওয়াতে হবে। 
    • রেনামাইসিন: ১টি ট্যাবলেটের ৮ ভাগের একভাগ।
    • New Tamol vet: ১টি ট্যাবলেটের ৮ ভাগের একভাগ।
    • এলাট্রল ট্যাবলেট: ১টি ট্যাবলেটের ৪ ভাগের একভাগ।

গরমে ব্রয়লার মুরগি মারা যায় কেন

গরমের সিজনে মুরগি বেশি মারা যায় এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন 26.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পর থেকে মুরগির খাদ্যের রূপান্তর ক্ষমতা হ্রাস পায় অর্থাৎ ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপ বৃদ্ধিতে ২ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত খাবার গ্রহণ কমিয়ে দেয়। একইভাবে তাপমাত্রা যত বৃদ্ধি পায় মুরগির জন্য ততই অসহনশীল হয়ে ওঠে এবং ৩৮ ডিগ্রির পর মুরগির মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও গরমের সময় মুরগির হিট স্টক ফল পক্স ফাউল কলেরা সহ অন্যান্য অনেক রোগ হয়ে থাকে এবং এই সকল রোগের মধ্যে কিছু কিছু রোগ সংক্রামক হওয়ায় এক মুরগি থেকে অন্যান্য সকল মুরগিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুরগি মারা যায়।

গরমে ব্রয়লার মুরগির পরিচর্জা

অত্যন্ত গরমের কারণে দেশি মুরগির তুলনায় বয়লার মুরগির ক্ষতি বেশি হয়। বয়লার মুরগির গরম সহ্য করার ক্ষমতা কম থাকে তাই গরমের ভেতর বয়লার মুরগি পালন করতে চাইলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। গরমে বয়লার মুরগির পরিচর্যার জন্য নিচের টিপস গুলো ফলো করতে পারেন:
  • খামারে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • ঘন ঘন পানি বদলে ঠান্ডা পানি দিতে হবে।
  • প্রয়োজনে শেডে ফ্যান বা কুলার ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • মুরগির খামারে পানির ছিটা দিয়ে পরিবেশ ঠান্ডা করা যেতে পারে।
  • হিটস্ট্রেস কমাতে ভিটামিন সি ও খনিজ সরবরাহ করা জরুরি।
  • খাবার হালকা এবং সহজপাচ্য হওয়া উচিত।
  • দুপুরের প্রচণ্ড গরমের সময় খাদ্য কম দিতে হবে।
  • ভোরবেলা ও সন্ধ্যায় বেশি খাবার দেওয়া উত্তম।
  • খামারের ছাদে ছাউনি বা ঠান্ডা ঢালাই ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • মুরগির পানির পাত্র সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • গরমে মুরগির মৃত্যু ঠেকাতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  • হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে টিকা ও ওষুধ সঠিকভাবে প্রয়োগ করা জরুরি।
  • অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
  • খামারের ভিতর নিয়মিত জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।
  • খামারের আশেপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
  • সবসময় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে যেন মুরগিরা ক্লান্ত বা নিস্তেজ না হয়।
  • গরমে উৎপাদন কমে যেতে পারে, তাই মানসম্মত পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে মুরগির ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়মের পাশাপাশি মুরগির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনাদের মধ্যে যারা পারিবারিকভাবে মুরগি পালন করেন অথবা খামার তৈরি করবেন বলে ভাবছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক উপকার হবে বলে আশাবাদী।

সবশেষে পাঠকদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলি প্রিয় পাঠকবৃন্দ শেষ পাতার আজকের এই আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি। আর্টিকেলের মধ্যে কোন প্রকার ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। একই সাথে কমেন্টে ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কোনো কমেন্ট করা হয় নি
কমেন্ট করতে ক্লিক করুন

শেষ পাতার কমেন্ট পলিসি মেনে কমেন্ট করুন।

comment url